সম্প্রতি ইউক্রেনের সঙ্গে সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।
এই অবস্থায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। দেশটি ইউক্রেনকে সামরিক গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফ্রান্স ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা বিভাগীয় তথ্য শেয়ার করছে বলে ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করার পর ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্যের জন্য ব্যয় ও অঙ্গীকার জোরালো করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে এক শীর্ষ সম্মেলনে সমবেত হন; ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এরপরই কিয়েভের সঙ্গে সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির এই সিদ্ধান্ত নিলো ফ্রান্স। বৈঠকের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা “আগামীতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে।”
পাশাপাশি, নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যদানের সিদ্ধান্ত বদল করায় উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। ম্যাক্রোঁ বলেন, “ইউরোপের ভবিষ্যৎ ওয়াশিংটন বা মস্কোতে বসে নির্ধারণ করা যাবে না।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর এই সপ্তাহের শুরুতে কিয়েভের জন্য সামরিক সাহায্য বাতিল মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। পরে সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেন, কিয়েভের সঙ্গে গোয়েন্দা বিভাগীয় তথ্য বিনিময় বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২২ সালে যুদ্ধের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য হারে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে; যার মধ্যে রুশ বাহিনীকে নিশানা করতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় একান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও রয়েছে।